
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনো নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ না পেলেও রংপুর-৬ আসনে দলের এক মনোনয়নপ্রত্যাশী ইতোমধ্যেই শাপলা প্রতীক সম্বলিত পোস্টারে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ীসহ আশপাশের এলাকায় তাকিয়া জাহান চৌধুরীর ছবি ও শাপলা প্রতীকসংবলিত অসংখ্য পোস্টার দেখা যাচ্ছে। পোস্টারগুলোতে লেখা রয়েছে, “আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৪-রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়নপ্রত্যাশী সংসদ সদস্য প্রার্থী (শাপলা মার্কা) তাকিয়া জাহান চৌধুরী আপনাদের সবার সমর্থন ও দোয়া প্রার্থী।”
তবে প্রতীক বরাদ্দ না পাওয়ার পরও এই ধরনের পোস্টার প্রচারণা চালানোর বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে তাকিয়া জাহান চৌধুরী দাবি করেন, পোস্টারগুলো আগেই ছাপানো হয়েছিল এবং তা ভুলক্রমে লাগানো হয়েছে। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রতীক নিয়ে বিতর্কের আগে পোস্টারগুলো ছাপানো হয়। পরে বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সামনে আসে।”
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকিয়া জাহান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রংপুর-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এরপর থেকে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। দলীয় সূত্র জানায়, তাকিয়া জাহান আনুষ্ঠানিকভাবে দলের কোনো পদে না থাকলেও মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, “উনি আমাদের দলের একজন সমর্থক। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য হননি। অনেক কর্মী-সমর্থক নিজেদের আগ্রহে প্রচার চালাচ্ছেন, তাকিয়াও তেমনই একজন।”
‘শাপলা প্রতীকে’ প্রচারণা চালানো নিয়ে তিনি বলেন, “মানুষ এখন এনসিপি বলতে অনেকটা শাপলাকে বুঝে। এমন অবস্থায় কেউ যদি নিজের উদ্যোগে কিছু করে, সেটা আমাদের নিষেধ করা কঠিন।”
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এনসিপি এখনো নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত কোনো নিবন্ধিত দল নয়, এবং দলীয় প্রতীকও নির্ধারিত হয়নি। সে প্রেক্ষাপটে প্রতীক ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো নির্বাচন আচরণবিধিরও সম্ভাব্য লঙ্ঘন হতে পারে। ফলে দল ও প্রার্থী উভয়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।