ডাকসু জাকসুর পর এবার চাকসুতেও শিবিরের জয়
ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘ ৩৬ বছর পর গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের পর এইবার এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই ৪৪ বছর পর আবারও চাকসুর নেতৃত্বে ফিরল ইসলামী ছাত্রশিবির।


সপ্তম চাকসু নির্বাচনে ভিপি–জিএসসহ ২৪টি পদে জয়ী হয়েছে সংগঠনটির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’। একই সঙ্গে মাত্র একটি পদে, অর্থাৎ এজিএস বা সহ সাধারণ সম্পাদক পদে জয় পেয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।


বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ। এরপর থেকে শুরু হয় গণনা। সবশেষ, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটায় ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।


ভিপি পদে জয়ী, ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত মো. ইব্রাহিম হোসেন। পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট।  তিনি ইতিহাস বিভাগের এমফিল শিক্ষার্থী ও সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।


৮ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে জিএস পদে জয়ী একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের শাফায়াত হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট।


ছাত্রদল শিবিরে  একমাত্র জয় এসেছে এজিএস পদে, ছাত্রদল প্যানেলের আইয়ুবুর রহমান এজিএস পদে ৭ হাজার ১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন শিবিরের সাজ্জাদ হোছন, পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট।



চাকসুর ২৬টি পদের মধ্যে ২৪টি তেই জয় পেয়েছে শিবির সমর্থিত প্রার্থীরা, বাকি ২ টি পদের১টি পদ ছাত্রদলের, আর একটি পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তামান্না মাহবুব।



উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৪৪ বছর আগে, ১৯৮১ সালে সর্বশেষ চাকসুর নেতৃত্বে ছিল ইসলামী ছাত্রশিবির। তখন ভিপি ছিলেন শিবির সমর্থিত জসিম উদ্দিন সরকার, জিএস ছিলেন আবদুল গাফফার। দীর্ঘ বিরতির পর এই জয়কে শিক্ষার্থীরা দেখছেন “এক ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন হিসেবে।