
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
আলোচনার জন্য সচিবালয়ে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের যুগ্ম সদস্যসচিব আবুল বাশার। তিনি নিজেও প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
আবুল বাশার বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সেই আস্থায় তাঁরা আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, আলোচনার সময় পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান চালিয়ে যাবেন।
এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্বঘোষিত 'মার্চ টু যমুনা' কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে কর্মসূচি আবার চালু করা হবে।”
এদিন ছিল আন্দোলনের টানা পঞ্চম দিন। সকাল থেকেই রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন কয়েক হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন, যার মধ্যে ছিল, ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, দিতে হবে দিতে হবে", বাংলার শিক্ষক, এক হও এক হও", শিক্ষকদের সঙ্গে প্রহসন, মানি না মানি না"।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা প্রধান দাবি হচ্ছে, মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে (ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়া প্রদান, শিক্ষা খাতকে জাতীয়করণ, অন্যান্য আর্থিক ও প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়ন
শিক্ষক সমাজ আশা করছেন, সরকার দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ ও দায়িত্বশীলভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।