
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন ক্যাফেটারিয়ায় (ডাকসু ক্যাফেটারিয়া নামে পরিচিত) পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া খাবারে ভর্তুকি দিয়ে দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বর্তমানে ক্যাফেটারিয়ার মেনুতে ২০ টাকার খাবার (তেহারি/খিচুড়ি)-এর পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে যুক্ত হয়েছে নতুন তিনটি প্যাকেজ, ভাত-সবজি-মুরগির মাংস-ডাল (৫৫ টাকা), ভাত-সবজি-ডিম-ডাল (৪০ টাকা) এবং ভাত-সবজি-ডাল (২৫ টাকা)।
এ বিষয়ে সংগঠনটির আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক এবং সাধারণ সম্পাদক আকাশ আলী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে কলাভবন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ক্লাসের ফাঁকে আশপাশে কোথাও ভালো খাবার পাওয়া যায় না। বিশেষ করে অনাবাসিক নারী শিক্ষার্থীরা আরও বেশি সমস্যায় পড়েন, কারণ অধিকাংশ হলে তাদের ক্যান্টিনে প্রবেশের সুযোগ নেই। কলাভবন ক্যাফেটারিয়ার ২০ টাকার খাবারের পরিমাণ খুবই অল্প; এটি খেয়ে একবেলা পার করা কষ্টসাধ্য। তাই নতুন তিনটি খাবার যুক্ত হওয়া নিঃসন্দেহে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ।”
তাঁরা আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি, ভর্তুকি দিয়ে সুলভ মূল্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করা। সম্প্রতি চালু হওয়া তিনটি প্যাকেজে মানসম্মত খাবার যুক্ত হলেও দাম সুলভ করা হয়নি এবং তাতে কোনো ভর্তুকিও দেওয়া হয়নি। অথচ এর থেকেও কম দামে প্রায় একই মানের খাবার হলের ইজারাভিত্তিক ক্যান্টিনগুলোতে পাওয়া যায়। যেহেতু এই ক্যাফেটারিয়া প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়, রুম ভাড়া ও কর্মচারীর বেতন বিশ্ববিদ্যালয় বহন করে, তাই প্রশাসনের পক্ষে ভর্তুকি দিয়ে খাবারের দাম কমানো সম্ভব।”
নেতৃবৃন্দ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “২০ টাকার খাবারের পরিমাণ অল্প হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে বাধ্য হয়ে বেশি দামের খাবারের দিকে ঝুঁকবে। এতে শিক্ষার্থীদের ব্যয় আরও বাড়বে। অনেক শিক্ষার্থী টিউশন করে পড়াশোনার খরচ চালান, শিক্ষা খাতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তাদের পক্ষে এই বাড়তি খরচ বহন করা কষ্টকর হয়ে উঠবে।”
শেষে তারা আহ্বান জানান, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন কলাভবন ক্যাফেটারিয়ায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া খাবারে ভর্তুকি দিয়ে সুলভ মূল্যে পুষ্টিকর খাবারের স্থায়ী ব্যবস্থা করে।"
একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবিতে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তারা।