তবে কি এবার ফেঁসে যাচ্ছেন আবু ত্বহা আদনান
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

আবারও আলোচনায় জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ও ধর্মীয় আলোচক আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান। ঘটনার সুত্রপাত তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন নাহারের একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে।  তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক দীর্ঘ পোস্টে স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেন।


তিনি দাবি করেন, আবু ত্বহা তার কলেজ জীবনের এক বান্ধবীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছেন, যিনি বর্তমানে একজন এয়ার হোস্টেস।


পোস্টে সাবিকুন নাহার লিখেন, “এয়ার হোস্টেসদের মেবি সেলিব্রিটি পছন্দ, আর সেলিব্রিটিগণও মেবি এয়ার হোস্টেস ডিজার্ভ করে। আপনাদের উস্তাদ Abu Taw Haa Muhammad Adnan প্রেমে মজেছেন জারিন জেবিন নামক তার ১৫ বছর পূর্বের কলেজ লাইফের প্রিয়তমা বর্তমান এয়ার হোস্টেস এর।”


সেখানে তিনি আরও উল্লেখ করেন, আবু ত্বহা নিয়মিত ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, জারি রেখেছেন একান্তে সাক্ষাৎও।


এছাড়াও ঐ পোস্টে তিনি আদনান পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী-পুরুষ একত্রে ক্লাস করার সুযোগকে “অবাধ মেলামেশা” বলে আখ্যায়িত করেন এবং এটিকে “ধর্মীয় শিক্ষার আড়ালে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্র” বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


তবে সেই পোস্টটি করার কিছু সময় পরই সাবিকুন নাহার তা মুছে ফেলেন পরে এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায়, আদনান ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি জানান যে আজ সকালে আনুমানিক ৫টার দিকে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটি তার বাড়ি থেকে চুরি হয়ে গেছে।


তিনি সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন যাতে বিভ্রান্তিকর তথ্য বা তার ব্যক্তিগত নম্বর অথবা পরিচালিত পেজ থেকে পাঠানো কোনো বার্তা বা তথ্যের মাধ্যমে কেউ বিভ্রান্ত না হন এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করেন। 



পোস্ট ডিলিটের পর সাবিকুন নাহার জানান, 'হিংসুক ও বিরোধীরা’ তাদের সুচিন্তিত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তাকে কিছু ভুল তথ্য দিয়েছিল, যার সত্যতা যাচাইয়ে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এবং তিনি “নিজের ভুল বুঝতে পেরে সব দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন”।


কিন্তু শনিবার (১১ অক্টোবর) তিনি আবারও সেই আগের পোস্টের স্ক্রিনশট রিপোস্ট করে লেখেন, “আমি মিথ্যা বলিনি। নিছক সন্দেহের বশে লিখার তো প্রশ্নই আসেনা। উল্লেখিত পোস্ট ডিলিট করে নিজের কাঁধে সব দোষ নিয়ে অপমানিত হওয়ার পথ বেছে নিয়েছিলাম সংশোধনের আশায়। কিন্তু ভক্তদের অতিমাত্রায় তাকে নির্দোষ প্রমাণের আস্ফালন তাকে পরিশুদ্ধ হতে দিচ্ছে না।”


তিনি আরও লেখেন, “আমার সত্য প্রকাশের ফলে যদি কেউ সচেতন হয় এবং তিনি চূড়ান্তভাবে সংশোধিত হন, তাতেই আমি শান্তি পাব।”


ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানকে ঘিরে নানা আলোচনা চলছে। কেও কেও এটিকে পারিবারিক বিষয় বলে উল্লেখ করে নীরবতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ ঘটনাটির বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা প্রত্যাশা করছেন। 


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনাগুলো আদনানের ভক্ত ও সমালোচকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিলেও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আবু মুহাম্মদ আদনানের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।