জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় জামালপুরে জামায়াতের মতবিনিময় সভা
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়ন এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) ভোট পদ্ধতি চালুর দাবিতে জামালপুরে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় জামালপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।


সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ড. ছামিউল হক ফারুকী। সভাপতিত্ব করেন জামালপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আব্দুস ছাত্তার।


বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জামালপুর জেলা সভাপতি মুফতী মোস্তফা কামাল এবং জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট মো. আব্দুল আওয়াল।


বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান ছিল দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণ কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করে। এই আন্দোলনের মূল চেতনা ছিল ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা।


প্রধান অতিথি ড. ছামিউল হক ফারুকী বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, বরং এটি জনগণের আত্মত্যাগের প্রতীক। মানুষ চায় এমন একটি ভোট ব্যবস্থা, যেখানে প্রতিটি ভোটের মূল্য থাকবে এবং সব মত ও দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সংখ্যাগরিষ্ঠতা ভিত্তিক ভোটব্যবস্থা প্রকৃত গণতন্ত্রের পরিপন্থী। পিআর পদ্ধতি চালু হলে সকল রাজনৈতিক দলের প্রকৃত জনপ্রিয়তা অনুযায়ী সংসদে আসন বণ্টন হবে।”


সভাপতি মাওলানা আব্দুস ছাত্তার বলেন, “জুলাই বিপ্লবের চেতনা বাস্তবায়ন মানে হচ্ছে অন্যায় ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য ধরে রাখা। আমরা একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি, যেখানে ইসলামি মূল্যবোধ, মানবিকতা ও গণতন্ত্র একসঙ্গে বিকশিত হবে।”


মুফতী মোস্তফা কামাল বলেন, “রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে হলে জনগণের অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। ইসলামী আন্দোলন সবসময় ন্যায়ের পক্ষে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।”


জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এডভোকেট মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, “জুলাইয়ের চেতনা মানে কেবল সরকার পরিবর্তন নয়, বরং এটি হচ্ছে জনগণের প্রকৃত ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি। আমাদের সবাইকে এই লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে হবে।”


সভা শেষে দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।