টানাপোড়েন পেরিয়ে সফলতা
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এক গ্রামে বসে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নারী উদ্যোক্তা সৈয়দ মাফুজা রুনা। অস্ট্রেলিয়ান জাতের ১৮টি গাভী নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন একটি আধুনিক দুগ্ধ খামার। প্রতিদিন তার খামারে উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ১৩০ লিটার দুধ, যা বিক্রি করে তিনি মাসে আয় করছেন দুই লাখ টাকারও বেশি।


কিছুদিন আগেও সংসারের টানাপোড়েনে ছিলেন মাফুজা রুনা। তবে দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে আজ তিনি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমানে তার খামারে তিনজন কর্মী স্থায়ীভাবে কাজ করছেন, যা স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থানের একটি ছোট উদাহরণও বটে।


সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে মাফুজা রুনার উদ্যোক্তা জীবনের অনুপ্রেরণাদায়ক প্রতিবেদন প্রচারিত হলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এই প্রতিবেদন দেখে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে তার খামার পরিদর্শনে যান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার।


তার সঙ্গে ছিলেন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা গোলাম আজম সৈকত। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন রাজাপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকারিয়া সুমন, উপজেলা বিএনপির সদস্য ও গালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আবুয়াল হাসান চাঁন মিয়া, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি গোলাম ফারুক মোল্লা, উপজেলা তাতীদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, গালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক টুটুল গাজী, যুবদল নেতা ইমাম হোসেন সেন্টু, সাতুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মীর শহিদসহ আরও অনেকেই।


নিজের পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস ও অধ্যবসায় দিয়েই মাফুজা রুনা প্রমাণ করেছেন—গ্রামীণ নারীরাও চাইলে হতে পারেন সফল উদ্যোক্তা। আজ তিনি শুধু একজন খামারি নন, বরং রাজাপুরের মানুষের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম।