
এবার নির্বাচনে অংশগ্রহনের সব রাস্তা বন্ধ হলো পতিত স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য! আইন মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল!
সোমবার, ৬ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলেই, তিনি আর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য থাকবেন না।
শুধু তাই নয়, স্থানীয় সরকার, মেয়র, চেয়ারম্যান বা প্রশাসক কোনো সরকারি পদেও অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না অভিযুক্ত ব্যক্তি।
অর্থাৎ, অভিযোগ গঠন মানেই রাজনৈতিক জীবনে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা। এবং এখানেই নাম উঠে এসেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী দুই রাজনৈতিক নেতার,
শেখ হাসিনা ও কামাল। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন সম্পন্ন, এখন সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ফলে, আইন অনুযায়ী, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক! আইনজ্ঞদের একাংশ বলছেন, “শুধু অভিযোগপত্র দাখিল করলেই হবে না, অভিযোগ গ্রহণের পরই আসামিকে অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত।”
অন্যদিকে, বাকিরা বলছেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের রাজনীতির মঞ্চে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই!”
এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই প্রজ্ঞাপন বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন বয়ে আনবে।কারণ, নির্বাচন ব্যবস্থায় এই প্রথমবারের মতো আইন, নৈতিকতা আর বিচার একই সূত্রে বাঁধা পড়লো।