গাজায় জিম্মি ইসরায়েলিরা শনিবার মুক্তি পেতে পারেন
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজার যুদ্ধ বন্ধ ও ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে আজ এই ধারনা পাওয়া গেছে কূটনৈতিক সূত্র থেকে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, স্বাক্ষরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার একটি অংশ থেকে আংশিক সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে।


চুক্তি অনুষঙ্গে, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি পক্ষ উভয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের ২০‑ধাপের শান্তি পরিকল্পনার এই ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা ও জিম্মিদের বিনিময় সমঝোতা দাবি করা হয়েছে। গাজায় প্রায় ৬৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবরের প্রেক্ষিতে এই শান্তি প্রবণতা আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনায় এসেছে। 


চুক্তি কার্যকর হলে আগামী শনিবারের মধ্যেই কিছু জিম্মি মুক্তি পেতে পারে। চুক্তির ধারা অনুযায়ী, একবার স্বাক্ষর হয়ে গেলে পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহারের কাজ শুরু হবে। ট্রাম্প স্বপ্রকাশিকভাবে জানিয়েছেন, “ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষই আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে স্বাক্ষর করেছে” 


ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। তাঁর ভাষ্য, “চুক্তি অনুমোদন হলে সব জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে”। হামাস দলে থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, প্রতিশ্রুতিমতো তারা জিম্মি-পরিবর্তন, সেনাবাহিনী প্রত্যাহার ও শাসন বিনিময় বিষয় অন্তর্ভুক্ত করবে 


কিন্তু চুক্তির বিস্তারিত বেশ কিছু অংশ এখনও স্পষ্টভাবে প্রকাশ হয়নি। বিশেষত, জিম্মি মুক্তির সঠিক সময়সীমা, সেনা প্রত্যাহারের অঞ্চল ও তার পরবর্তী ধাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি এই অংশগুলো স্পষ্টভাবে নির্ধারণ না করা হয়, তাহলে আগের শান্তি উদ্যোগগুলোর মতো এ চুক্তির সফলতা নিয়েও সন্দেহ থাকবে। 


গাজার খান ইউনিসের বাসিন্দা আবদুল মাজিদ বলেন, “যুদ্ধবিরতি ও রক্তপাত বন্ধ হওয়ার জন্য মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ। শুধু আমি নই, গোটা গাজা উপত্যকা সুভাষে প্রবল খুশি।” তিনি এবং অন্যদের মতে, এই চুক্তি গাজার মানুষের জন্য একটি স্বপ্নের সূচনা হতে পারে।