চাকসু নির্বাচনে ১০ মিনিটে দিতে হবে ৪০ ভোট
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে একজন ভোটারকে মোট ৪০টি ভোট দিতে হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রতিটি ভোটারের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময়। অর্থাৎ, প্রতিটি ভোট দিতে একজন ভোটার পাবেন গড়ে প্রায় ১৫ সেকেন্ড করে সময়।


বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনে স্থাপিত ১৫টি ভোটকেন্দ্র ও ৬১টি ভোটকক্ষে। প্রতিটি কক্ষে সর্বোচ্চ ৫০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন চাকসুর ২৬টি পদের জন্য ৪১৫ জন প্রার্থী এবং হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য ৪৯৩ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।


ভোটদানের সময় প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে পাঁচটি ব্যালট পেপার, যার মধ্যে চারটিতে থাকবে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের পদের তালিকা ও একটিতে থাকবে হল সংসদের পদের তথ্য। ব্যালটে প্রার্থীদের নাম ও ব্যালট নম্বর স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকায় ভোটাররা সহজে বুঝতে পারবেন কোন ব্যালটে কোন পদ রয়েছে। এবারের নির্বাচনে ভোট গণনা করা হবে ওএমআর পদ্ধতিতে, যা দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ফলাফল প্রকাশে সহায়ক হবে।


নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে মোট ১৩টি প্যানেল। এর মধ্যে রয়েছে: ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বাম জোট, স্বতন্ত্র, বৈচিত্র্য ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন এবং সুফীপন্থী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘অহিংস শিক্ষার্থী ঐক্য’। এসব প্যানেল ভোটারদের আকৃষ্ট করতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচারণায় ছিল সক্রিয়।


নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাস এবং আশপাশের এলাকায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা শাখা, পুলিশ, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিস, রিজার্ভ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স, গোয়েন্দা সংস্থা, বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট সদস্যরা। মাঠে রয়েছেন পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১ হাজার ৫০ জন পুলিশ সদস্য এবং র‍্যাবের সাইকেল ইউনিটের ৪০ জন সদস্য। প্রয়োজনে বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হতে পারে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী জানান, শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সে লক্ষ্যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভোটারদের জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বাইরের কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে সাংবাদিকদের জন্য ব্যালট কক্ষ ছাড়া ক্যাম্পাসে থাকবে অবাধ প্রবেশাধিকার।