
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) আয়োজিত মডেল ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশন কনফারেন্স ২০২৫-এ অংশগ্রহণ করে তিনটি পুরস্কার অর্জন করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) তিনজন শিক্ষার্থী। বিষয়টি রোববার (১২ অক্টোবর) নিশ্চিত করেছেন বিজয়ী শিক্ষার্থীরা।
এই সম্মেলনটি ৯ অক্টোবর শুরু হয়ে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত চলে। সেখানে অংশগ্রহণকারী তিনজন শিক্ষার্থী হলেন, মোঃ মাইনুল ইসলাম, শাহরিয়ার আহমেদ রামিম এবং আফিফা তাসমিয়া খান। মাইনুল “স্পেশাল মেনশন–১ (UNCTAD কমিটি)”, আফিফা “আউটস্ট্যান্ডিং ডেলিগেটেড (UNCTAD কমিটি)” এবং রামিম “স্পেশাল মেনশন–২ (IUCN কমিটি)” পুরস্কার লাভ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে তাদেরকে সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
উক্ত তিন শিক্ষার্থীই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশন (CUMUNA) এর পক্ষ থেকে এই জাতীয় কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি, ক্লাবটির সাবেক সভাপতি হাসিন মাহতাব মাহিন “ইন্টারন্যাশনাল প্রেস কমিটিতে এডিটর ইন চিফ” এবং বর্তমান সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ চিন্ময় “ভাইস-চেয়ারপার্সন (UNCTAD)” হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত মাইনুল ইসলাম বলেন, “এটি ছিল আমার প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কনফারেন্স। দেশের বিভিন্ন প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা সহজ ছিল না। তবে আমি নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যখন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জাতীয় মঞ্চে উচ্চারিত হলো, সেটা ছিল সত্যিই গর্বের মুহূর্ত। আমি এই অর্জন উৎসর্গ করছি আমার ক্লাবের সকল সদস্যকে।”
আফিফা তাসমিয়া খান বলেন, “এটি ছিল আমার প্রথম ন্যাশনাল সম্মেলন এবং এই পুরস্কার আমার জন্য এক বিশেষ প্রাপ্তি। ইনশাল্লাহ! এই জাতীয় অভিজ্ঞতা থেকে প্রেরণা নিয়ে আমি আরও ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা করব— আমার বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রিয় ক্লাবের জন্য।”
শাহরিয়ার আহমেদ রামিম বলেন, “এই কনফারেন্স আমার জন্য এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে পুরস্কার অর্জন করা সত্যিই এক অবর্ণনীয় অনুভূতি। শুরুতে কিছু ভয় এবং অনিশ্চয়তা ছিল, কিন্তু প্রতিটি মুহূর্তে নতুন কিছু শিখেছি। আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।”
এই সাফল্য প্রসঙ্গে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ চিন্ময় বলেন, “এই অর্জনের মাধ্যমে কুবি MUN আবারও জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের নেতৃত্ব, দক্ষতা ও সম্ভাবনার প্রমাণ দিয়েছে। ইনশাল্লাহ! আমরা এই ধারা বজায় রাখব। এটি শুধু ক্লাবের নয়, পুরো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব।”