চুয়াডাঙ্গা- মেহেরপুর রুট পরিবহণ সেক্টরে অরাজকতা, ভগান্তিতে যাত্রীরা
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর রুটে দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন খাতে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয় যাত্রী ও কর্মকর্তাদের অভিযোগ, রুটটিতে পরিবহন মালিক সমিতির একচ্ছত্র আধিপত্য ও স্বৈরাচারী আচরণের কারণে সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরাও প্রতিনিয়ত অপমান ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।


সূত্র জানায়, রয়েল পরিবহন মালিক সালাউদ্দিন ও সুগন্ধ্যা পরিবহন মালিক আবুল কালাম নেতৃত্বাধীন একটি অংশ বহুদিন ধরে এই রুটে প্রভাব বিস্তার করে আসছে। তাদের নেতৃত্বে চলা পরিবহন মালিক সমিতির বিরুদ্ধে উঠেছে অসংখ্য অভিযোগ।


এই রুটে রয়েল পরিবহন, পূর্বাশা, চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স, গোল্ডেন লাইন, জেআর, সাউদিয়া, রিংকি, সোহেল, আরএ ও শাহ ফরিদ পরিবহনের পাশাপাশি স্থানীয় লোকাল বাসগুলো যেমন, সুগন্ধা, দোয়েল, মিম, সোনারতরি, আল্লাহর দানসহ আরও বেশ কয়েকটি বাস চলাচল করে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, এসব বাসের সুপারভাইজারদের আচরণ অমার্জিত এবং অনেক সময় যাত্রীদের সঙ্গে অশোভন ব্যবহার করা হয়।


বিশেষ করে সরকারি-বেসরকারি অফিসগামী যাত্রীরা জানান, সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে বাসে উঠতে গেলে মালিক সমিতির নাম ব্যবহার করে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়, অপমান করা হয় এবং জরিমানার ভয় দেখানো হয়। এতে তারা ভীষণভাবে অপমানিত ও নিরাপত্তাহীন বোধ করেন।


একাধিক ভুক্তভোগী জানান, “আমরা চাকরিজীবী মানুষ, সময় মেনে অফিসে যেতে হয়। কিন্তু মালিক সমিতির দাপটে বাসে উঠতে গেলেই অপমানিত হতে হয়। তারা নিজেদের ইচ্ছামতো নিয়ম চালায়।”


এই পরিস্থিতি নিরসনে যাত্রীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা গেছে, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা দ্রুতই জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।


ভুক্তভোগীদের দাবি, পরিবহন মালিক সমিতির উচিত যথাযথ অনুমতিপত্র প্রদান করে যাত্রীদের সম্মানজনক সেবা নিশ্চিত করা এবং নৈরাজ্যমুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।